
ই কার্যক্রমে দলের সব নেতাকর্মী সম্পৃক্ত হবেন জানিয়ে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বলেন, ‘আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে দলের নেতাকর্মীরা তাদের ধার্যকৃত অর্থ পরিশোধ করবেন। পরে সংগৃহীত অর্থ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হবে।’
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বন্যার্ত এসব মানুষকে ত্রাণসহায়তা দিতে অর্থ সংগ্রহে এবার মাঠে নেমেছে যশোর জেলা বিএনপি।
একটি ত্রাণ কমিটি করে বানভাসি মানুষের জন্য ইতোমধ্যেই অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন জেলার নেতা-কর্মীরা। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বন্যার্তদের সহায়তায় দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকার ত্রাণ তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ওই কমিটি।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষের জন্য তাদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
জানানো হয়, তহবিল সংগ্রহে তারা জেলা কমিটির আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আবেদনকারী, সাবেক পৌর মেয়র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, দলের উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রত্যেকের জন্য ৫ হাজার করে চাঁদা নির্ধারণ করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদে দলের অনুমোদিত প্রার্থীর জন্য ১০ হাজার টাকা, দলের উপজেলা পর্যায়ে পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও অন্যান্য যুগ্ম আহ্বায়ক, সাংগঠনিক সম্পাদকদের ৩ হাজার, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও যশোর পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ২ হাজার এবং উপজেলা ও পৌর কমিটির সদস্যদের জন্য ১ হাজার করে চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় সিলেট, রংপুরসহ ময়মনসিংহ জেলার বড় একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। জনগণের দল হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি বর্ন্যাতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
অমিত জানান, ইতোমধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইসহাককে আহ্বায়ক এবং আরেক সদস্য মারুফুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তৃণমূলের কর্মী থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে দলের সর্বোচ্চ নেতা পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট হারে এই কমিটি অর্থ সংগ্রহ করবে। এর বাইরে সামর্থ্য অনুযায়ী তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
এই কার্যক্রমে দলের সব নেতা-কর্মী সম্পৃক্ত হবেন জানিয়ে অমিত বলেন, ‘আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে দলের নেতা-কর্মীরা তাদের ধার্যকৃত অর্থ পরিশোধ করবেন। পরে সংগৃহীত অর্থ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হবে। দলের বাইরে আমরা বিত্তশালী কিংবা দানশীল ব্যক্তিদের কাছেও সাহয্যের আবেদন জানাব। এর পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে দানবাক্সের মাধ্যমে বানভাসিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হবে।’
জেলা বিএনপির এই মানবিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে যশোরে কর্মরত সংবাদকর্মীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইসহাক ও সদস্যসচিব মারুফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, মিজানুর রহমান খান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূর-উন-নবী, সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু প্রমুখ।